ফিসটেক কোম্পানির ওষুধে শেষ হলো দেড় কোটি টাকার মাছ:উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন
বাগমারা প্রতিনিধি,উত্তরবঙ্গ প্রতিদিন :: ফিসটেক লিমিটেড নামের একটি কোম্পানীর ওষুধ ব্যবহারে রাজশাহীর বাগমারার এক মৎস্যচাষীর দেড়কোটি টাকার মাছ মরে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোম্পানীর প্রতিনিধির পরামর্শে তাদের তৈরি নিম্নমানের ওষুধ ব্যবহার করায় এই ক্ষতি হয়েছে বলে ইউসুফ আলী নামের ওই ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। এর ফলে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে জানান। তবে পরামর্শদাতা কোম্পানীর প্রতিনিধি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উপজেলার কাচারীকোয়ালীপাড়া ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের ইউসুফ আলী নামের একজন মৎস্যচাষি একই এলাকার ১০০ বিঘার একটি দিঘী ইজারা নিয়ে রুই, কাতল, মৃগেলসহ কার্প জাতীয় মাছ চাষ করে আসছেন। কিছু দিন আগে তার দিঘীর কিছু মাছের শরীরে ক্ষুদ্র আকৃতির পোকার আক্রমন দেখা দেয়। এই বিষয়ে তিনি স্থানীয় মাছের খাদ্য বিক্রেতা হাফিজুর রহমানের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তিনি ফিসটেক নামের একটি মাছের খাবার এবং ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় করে দেন।
হাফিজুর রহমান ওই কোম্পানীর স্থানীয় বিক্রেতাও। সে মোতাবেক তিনি আমিনুল ইসলামের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৪৫ হাজার টাকায় গ্যাসোনেক্স ও আকুয়া ম্যাজিক প্লাস নামের দুটি ওষুধ কিনে দিঘীতে প্রয়োগ করেন। রাত দেড়টার দিক থেকে দিঘীর মাছ লাফালাফি ও মরতে শুরু করে। পাহারাদার বিষয়টি ইউসুফ আলীকে মোবাইলে জানান। পরে তিনি এসে দিঘীর সব মাছ মরে যেতে দেখেন।
শুক্রবার সকাল পর্যন্ত দিঘীতে থাকা প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার মরে যায়। এর মধ্যে তিনি শ্রমিক দিয়ে মাছ ধরে স্থানীয় কয়েকটি আড়তে কম দামে বিক্রি করেন।
ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, ফিসটেক কোম্পানীর প্রতিনিধি আমিনুল ইসলামের পরামর্শে ও ব্যবস্থাপত্র অনুসারে ওষুধ ব্যবহার করে তাঁর দিঘীর সব মাছ মরে গেছে। ওষুধগুলো নিম্নমানের ও কীটনাশক মেশানো হতে পারে বলে তিনি সন্দেহ করছেন। এতে প্রায় এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, দিঘীর সব মাছ মরে যাওয়াতে তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।